
এইচএসসি/আলিম বাংলা ১ম পত্র: MCQ, CQ, সারাংশ ও উত্তরসহ গাইড - HSC/Alim Bangla 1st Paper Chapter-wise Guide PDF Free Download
উচ্চমাধ্যমিক/আলিম বাংলা প্রথম পত্র গাইডে রয়েছে অধ্যায়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত সারাংশ, সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর, বহুনির্বাচনী (MCQ), নমুনা প্রশ্ন ও বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য - HSC/Alim বাংলা ১ম পত্র গাইডে থাকছে Chapter-wise Summary, Creative Questions with Answers, MCQ Practice, এবং Board Suggestion — সবকিছু এক পিডিএফ-এ।
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র গাইড ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড করুন। গদ্য, পদ্য, সহপাঠসহ অধ্যায়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত সারাংশ ও প্রশ্ন-উত্তরের সেরা সমাধান একসাথে পাবেন এখানে - HSC Bangla 1st Paper Guide PDF ২০২৫ সংস্করণ এখানে পাওয়া যাবে। গদ্য, পদ্য, সহপাঠসহ পূর্ণাঙ্গ এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র গাইড সহজ ভাষায় PDF আকারে ডাউনলোড করুন।
ভূমিকা
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র বিষয়টি শিক্ষার্থীদের সাহিত্যবোধ, ভাষার নান্দনিকতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই পত্রে গদ্য, পদ্য, সংলাপ, অনুবাদসহ বিভিন্ন সাহিত্যধর্মী উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা ও সৃজনশীল চিন্তা উন্নত করে। বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য অধ্যায়ভিত্তিক প্রস্তুতি, সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর, সংক্ষিপ্ত সারাংশ এবং MCQ চর্চা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই গাইডে প্রয়োজনীয় সব উপাদান সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্রের গদ্য অংশের প্রতিটি অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত সারাংশ
১. বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সাহিত্য সাধনার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও নব্য লেখকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে রচিত প্রবন্ধ। লেখক তাদের সুসংস্কৃত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ লেখনী গঠনের আহ্বান জানান।
২. অপরিচিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নারী স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। একটি অচেনা নারীর আত্মবিশ্বাস ও স্বনির্ভরতা লেখকের দৃষ্টিভঙ্গিকে নাড়িয়ে দেয়।
৩. সাহিত্যে খেলা – প্রমথ চৌধুরী
সাহিত্যকে কঠোরতা থেকে মুক্ত করে খেলার ছলে লেখার আবেদন। লেখকের মতে, সাহিত্যের প্রাণবন্ততা ও মাধুর্য এতে বৃদ্ধি পায়।
৪. বিলাসী – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
একজন দরিদ্র যুবকের আত্মত্যাগের গল্প। ভালোবাসা, আত্মসম্মান ও মানবিক মূল্যবোধ এই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু।
৫. অর্ধাঙ্গী – রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
নারীর মর্যাদা, অধিকার ও সামাজিক অবস্থান নিয়ে একটি শক্তিশালী বক্তব্য। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান ও অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
৬. যৌবনের গান – কাজী নজরুল ইসলাম
যৌবনের প্রাণবন্ততা, সাহস, বিদ্রোহ ও স্বপ্নের কথা। লেখক এই প্রবন্ধে নতুন প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
৭. জীবন ও বৃক্ষ – মোতাহের হোসেন চৌধুরী
বৃক্ষের সঙ্গে মানবজীবনের তুলনা করে জীবনের দার্শনিক ব্যাখ্যা। আত্মত্যাগ ও নির্মোহতার মাধ্যমে জীবনকে মহৎ করার আহ্বান।
৮. গন্তব্য কাবুল – সৈয়দ মুজতবা আলী
ভ্রমণবৃত্তান্তধর্মী রচনা, যেখানে লেখক কাবুল যাত্রার অভিজ্ঞতা কৌতুক, ব্যঙ্গ ও সংস্কৃতিগত উপমায় তুলে ধরেছেন।
৯. মাসি-পিসি – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
দুই মধ্যবয়সী নারীর জীবনের অন্তর্নিহিত কষ্ট ও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব। সামাজিক ও পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমালোচনামূলক দৃষ্টিপাত।
১০. কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ – শওকত আলী
আদিবাসী জীবনের বাস্তবতা ও সংগ্রাম তুলে ধরা হয়েছে। কপিলদাসের আত্মত্যাগ মানবিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
১১. রেইনকোট – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
একটি রেইনকোট ঘিরে সংসারজীবনের সংকট, ভালোবাসা ও বিরহের চিত্র ফুটে উঠেছে। নগরজীবনের বাস্তবতা এখানে মুখ্য।
১২. নেকলেস – গী দ্য মোপাসাঁ
একটি ভুলের কারণে জীবনের বড় পরিবর্তন। সামাজিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও মিথ্যার ফলাফল কীভাবে জীবনকে প্রভাবিত করে, তা উঠে এসেছে।
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্রের পদ্য অংশের প্রতিটি অধ্যায়ের মূল সারমর্ম
পদ্য-১: ঋতু-বর্ণন - আলাওল
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ধারায় রচিত এই কবিতায় প্রকৃতির চিত্রায়নের মাধ্যমে ঋতুর রূপবৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়েছে। এটি বাংলা কাব্যের গীতিকাব্যিক ঐতিহ্যের পরিচায়ক।
পদ্য-২: বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত
মেঘনাদবধ কাব্যের অংশবিশেষ। মেঘনাদ এখানে বীরোচিত বক্তৃতার মাধ্যমে বিভীষণকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে নিজের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ তুলে ধরেন।
পদ্য-৩: সোনার তরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আধ্যাত্মিক ধারা ও আত্মসমর্পণের অনুষঙ্গে ভরপুর এই কবিতায় জীবনের অস্থায়ীতা ও চূড়ান্ত আত্মনিবেদনের আহ্বান আছে।
পদ্য-৪: বিদ্রোহী - কাজী নজরুল ইসলাম
বিদ্রোহী কবিতায় কবি মানুষের আত্মশক্তি, দ্রোহ ও অসীম সাহসিকতাকে তুলে ধরেছেন। এটি জাতীয়তাবাদী ও বিপ্লবী চেতনার প্রতীক।
পদ্য-৫: সুচেতনা - জীবনানন্দ দাশ
এই কবিতায় মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক, স্মৃতি ও চিন্তার মধ্য দিয়ে এক গভীর নিঃসঙ্গতার অনুভব ফুটে উঠেছে। জীবনানন্দের নিঃশব্দ ভাবনার ছাপ স্পষ্ট।
পদ্য-৬: প্রতিদান - জসীমউদ্দীন
পল্লি জীবনভিত্তিক এই কবিতায় রয়েছে এক নিঃস্ব পিতার কষ্টের কথা, যে নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করেও ছেলের অবহেলার শিকার হয়।
পদ্য-৭: তাহারেই পড়ে মনে - সুফিয়া কামাল
প্রেম ও স্মৃতিমেদুরতার কাব্যিক চিত্রায়ন। কবি হৃদয়ের গভীর থেকে একটি ব্যক্তিকে স্মরণ করছেন, যেখানে নারীর আবেগ ও ভালোবাসা উঠে এসেছে।
পদ্য-৮: পদ্মা - ফররুখ আহমদ
পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে রচিত এই কবিতায় রয়েছে বাঙালির সাংস্কৃতিক শিকড়, জীবনীশক্তি ও জাতিগত পরিচয়ের প্রতিচ্ছবি।
পদ্য-৯: ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ - শামসুর রাহমান
বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত এই কবিতায় রয়েছে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভাষার অধিকার রক্ষার বার্তা।
পদ্য-১০: আঠার বছর বয়স - সুকান্ত ভট্টাচার্য
এই কবিতায় রয়েছে যুবকের বিপ্লবী চেতনা ও সমাজ পরিবর্তনের ডাক। শোষণমুক্ত এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন ফুটে উঠেছে।
পদ্য-১১: আমি কিংবদন্তির কথা বলছি - আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ্
এটি একটি ঐতিহাসিক ও দেশপ্রেমভিত্তিক কবিতা। কবি এখানে বাঙালির সংগ্রামী ইতিহাস ও স্বাধীনতার অনুপ্রেরণার কথা বলেছেন।
পদ্য-১২: প্রত্যাবর্তনের লজ্জা - আল মাহমুদ
যুদ্ধোত্তর বাস্তবতা ও যোদ্ধার অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে রচিত কবিতা। এখানে রয়েছে স্বাধীনতা-পরবর্তী মানসিক কষ্ট ও হতাশার চিত্র।
সহপাঠ অংশের উপন্যাস ও নাটকের সারাংশ
উপন্যাস: লালসালু - সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
"লালসালু" উপন্যাসে গ্রামীণ সমাজে ধর্মকে ব্যবহার করে এক শ্রেণির মানুষ কীভাবে নিজের স্বার্থ হাসিল করে—তা তুলে ধরা হয়েছে। মজিদ নামের একজন ভণ্ড পীর একটি মাজার প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রভাব বিস্তার করে। উপন্যাসটি সমাজ-সংস্কার, কুসংস্কার ও ধর্মের অপব্যবহারকে কেন্দ্র করে রচিত একটি প্রভাবশালী রচনা।
নাটক: সিরাজউদ্দৌলা - সিকান্দার আবু জাফর
এই নাটকটি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবন, সংগ্রাম ও পতনের কাহিনি নিয়ে রচিত। এখানে নবাব সিরাজের সাহস, দেশপ্রেম এবং বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁর পতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি জাতীয়তাবোধ, ঐতিহাসিক বোধ ও স্বাধীনতার মূল্য বোঝাতে সাহায্য করে।
গাইডবই কীভাবে ডাউনলোড করবো?
উপসংহার
এইচএসসি বাংলা ১ম পত্রের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর ধারণা প্রদান করে। প্রতিটি অধ্যায় শিক্ষার্থীদের কাব্যিক সৌন্দর্য, ভাষার শৈলী এবং মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। সঠিকভাবে অধ্যয়ন করলে শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞান, সাহিত্য বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং, নিয়মিত চর্চা ও মনোযোগ সহকারে পাঠ গ্রহণই হবে সাফল্যের চাবিকাঠি।